নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ ফুটবলের শিরো’পা জিতেছে বাংলাদেশ নারী দল। সাবিনা-সানজিদাদের দ’ক্ষিণ এশিয়া জয়ের ব’ন্দনায় মাতছে পুরো দেশ। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে তাদের এই জয়কে তুলে ধরছেন, অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
নারী ফুটবল দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া ও ধ’র্মের প্র’সঙ্গ টেনে আনা নিয়ে সম্প্রতি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রখ্যা’ত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। তার স্ট্যাটাসটি পা’ঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো―
‘মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফু’ল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের এতো উৎফু’ল্ল হতে দেখা যায় নি কেন? তবে কি তাদের লক্ষ্য না’রীর উন্নতি নাকি উন্নয়নের নামে নারীর উ’ন্মুক্ত উপস্থাপন?
যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে ‘ধ’র্মবি’দ্বে’ষ’ কায়েম করতে চা’ইছেন, তাদের ভাবখানা এমন যেন মহিলা ফুটবল দল নেপালের বিরু’দ্ধে খেলতে নামে নি, বরং ইস’লা’মের বি’রু’দ্ধে ল’ড়াইয়ে নেমেছিল! বাস্তবতা হলো, এদেশের মানুষ ধ’র্মপরা’য়ণ। খেলোয়াড়রাও এর বাহিরে নন।
আপনারা যাদের ‘ইউজ’ করে ইস’লামবি’দ্বে’ষ ছ’ড়াচ্ছে’ন, তাদের একজন আল্লাহর উপর ভর’সার কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আরেকজন মাকে না’মাজ-রোজা করতে বলেছেন। কখনো আবার পুরো দল সিজদায় লু’টিয়ে পড়ে। এ থেকে পরিষ্কার যে, তারা মুসলমানের সন্তান। তারা আমাদেরই বোন।
হয়তো ইসলাম সম্প’র্কে সঠিক ধারণা তাদের নাই। যারা পাহাড়ী আছেন, তারাও আমাদের অংশ। তাছাড়া এসব মেয়েরা নিতান্ত গরীব ঘ’রের সন্তান। যদি তারা একটু স’চ্ছল ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতেন তাহলে তাদের কয়জন ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিতেন সেটা প্রশ্ন সাপে’ক্ষ বিষয়।
সুতরাং ‘না’রীবাদ’-এর মতো বড়লোকি ত’ত্ত্ব তাদের জীবনে একেবারেই অ’প্রাসঙ্গিক ও গু’রুত্বহী’ন। অতএব, এদের দিয়ে ইসলাম বি’দ্বে’ষ ও আলেমদের প্রতি ঘৃ’ণার চা’ষাবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে সফল হবে না। বরং তাদের মধ্যে সামান্য দাওয়াতী কাজ করা গেলে এরা একেকজন হাজারো মানুষের হেদায়েতের কারণ হতে পারেন ইন শা আল্লাহ।
তবে এটা সত্য যে, যেটাকে খেলা বলা হচ্ছে সেটা মূলতঃ একটা সাংস্কৃতিক যু’দ্ধ। সেই যু’দ্ধে যাদের অ’স্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না যে, সামান্য পয়সার বিনিময়ে তাদের কোন্ কাজে ইউ’জ করা হচ্ছে। মহান আল্লাহ তাদের ও ইসলামের প্রতি বি’দ্বেষ লালনকারীদের হেদায়েত দান করুন।’