খুলনার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ হওয়া সেই রহিমা বেগমকে অক্ষ’ত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে বাং’লানিউজকে নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো.মাসুদুর রহমান ভূঞা।
তিনি জানান, শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উ’দ্ধার করা হয়। গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণি’কপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে নিয়ে নি’খোঁজ হন রহিমা বেগম।
এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভা’ড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যব’হৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁ’জতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁ’জ করেন সন্তানরা।
রহিমার ৬ সন্তান কখনো আইন’শৃঙ্খলা র’ক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়-স্বজনদের দ্বা’রস্থ হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁ’জে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মা’মলাও দায়ের করেন।
নিখোঁজ হওয়া রহিমা খাতুনকে জীবিত ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম আক্তার ওরফে মান্নান। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার মাকে পেয়ে গেছি। জীবিত অবস্থায় পেয়েছি।
এই মুহূর্তে এর চেয়ে বড় খবর আমার কাছে আর কিছু নেই। আমি অনেক খুশি। আমি এখন ঢাকার বসু’ন্ধরা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি। আমি মাকে নিয়ে ঘরে ফিরতে চাই। তিনি কোথায়, কীভাবে নি’খোঁজ হলেন— এগুলো জানাতে আগ্রহী নই এখন। মা’কে ফিরে পেতে চেয়েছি, জী’বিত পেয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রাহিমা বেগম (৫২)। ঘ’ণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফিরে আসেন না। পরে মায়ের খোঁ’জে সন্তানরা সেখানে গিয়ে মায়ের ব্যবহৃত স্যা’ন্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রা’স্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সকল স্থানে স’ন্ধান নেওয়ার পর মাকে পান না।
এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উ’ল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মাম’লা দায়ের করেন। এ মামলার তদ’ন্তকালে পুলিশ ও র্যাব ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রে’ফতার করে। এরা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নি’খোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।