২৯ দিন নি’খোঁজ থাকার পর শনিবার রাতে (২৪ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে জী’বিত অবস্থায় উ’দ্ধার হয়েছেন রহিমা বেগম। তবে এর দুই দিন আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর জন্ম নি’বন্ধন সনদের জন্য বোয়ালমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন তিনি। পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জিজ্ঞা’সাবাদে সন্দেহ হলে রহিমা বেগমকে ইউপি সদস্যের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু পরে তিনি সেখানে যাননি, সনদ নিতেও আসেননি। খুলনা নগরের মহে’শ্বরপাশা এলাকা থেকে নি’খোঁজ হওয়া রহিমা বেগমকে সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস বিশ্বাসের (৫৫) বাড়ি থেকে উ’দ্ধার করে আই’নশৃ’ঙ্খলা বাহিনী।
এ ঘটনায় ওই বাড়ির তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা পুলিশ থানা হে’ফাজতে নিয়েছে। তারা হলেন, বাড়ির মালিক কুদ্দুস বিশ্বাসের স্ত্রী হিরা বেগম (৫০), ছেলে আলামিন বিশ্বাস (২৫) ও কুদ্দুস মোল্যার ছোট ভাই আবুল কালামের স্ত্রী রাহেলা বেগম (৪৫)।
তারা এখন খুলনা পুলিশের জি’ম্মায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। কুদ্দুস বিশ্বাস বর্তমান বোয়ালমারী উপজেলা ডোবরা জনতা জুটমিলের একজন কর্মচারী। রহিমা বেগম গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আসেন। বোয়ালমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর রহিমা বেগম আমার অফিসে এসেছিলেন জন্ম নিবন্ধ’ন করানোর জন্য।
তাকে না চিনতে পেরে ইউপি সদস্যের কাছে পাঠাই। তবে পরে আর রহিমা বেগম পরিষদে আসেননি। শনিবার রাতে খুলনা পুলিশ বোয়ালমা’রী থানা পুলিশের সহায়তায় রহিমাকে উ’দ্ধার করে। এ বিষয়ে কুদ্দুসের মেয়ে-জামাতাকে জি’জ্ঞাসা’বাদে জানতে পারি রহিমার বাড়িতে জমিজমা নিয়ে ঝা’মেলা চলেছিল।
এ কারণে তিনি পূর্ব পরিচিত কুদ্দুসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে কুদ্দুস বিশ্বাসের বাড়ির তিন সদস্যকে খুলনা পুলিশ জবা’নব’ন্দি নেওয়ার জন্য নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে দুই জন মা’রাত্ম’কভাবে অ’সুস্থ। একজনের অ’স্ত্রোপ’চার হয়েছে ও আরেকজনের ক’রো’না প’জিটি’ভ বলে জানান চেয়ারম্যান।
বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর রহিমা বেগম ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন জন্ম নিবন্ধন করানোর জন্য। তাকে না চিনতে পেরে চেয়ারম্যান আমার কাছে পাঠায়। কিন্তু তিনি আমার কাছে আসেননি।
তিনি আরও বলেন, খুলনা মহানগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম আমার পূর্বপরি’চিত। রহিমা বেগমকে না জানিয়ে আমরা কাউন্সিলর সাইফুলকে সবকিছু খুলে বললে তারা খুব ‘দ্রুত রহিমা বেগমকে নিয়ে যাবেন বলে জানান। রহিমা বেগম যাতে পা’লিয়ে না যান সে বিষয়ে আমাদেরকে ন’জর রাখতে বলেন কাউন্সিলর।
তারপর শনিবার রাতে খুলনা ও বোয়ালমারী থানা পুলিশের উপস্থিতিতে রহিমা বেগমকে খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কুদ্দুস বিশ্বাসের বাড়ির তিন জন সদস্যকে খুলনা পুলিশ জবা’নব’ন্দি নেওয়ার জন্য নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।