২০ নভেম্বর পর্দা উঠছে কা’ঙ্ক্ষিত কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের। ২২তম এ বিশ্ব আসরে খেলায় সরাসরি অং’শ না নিলেও উপস্থিতি থাকছে বাংলাদেশের। ফিফার অফিসিয়াল ছয় লাখ টি-শার্ট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামে তৈরি এসব টি-শার্ট এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে বা’য়ারের হাতে।
প্রায় ১৩ কোটি টাকার এ টি-শার্ট তৈরি করে বাংলাদেশকে গৌ’রবান্বিত করেছে স’নেট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কাতারের আল খোর আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতার-ইকুয়েডর উদ্বোধ’নী ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে এবারের বিশকাপ আসরের। ম্যাচের আগে উদ্বোধ’নী অনুষ্ঠান হবে ৬০ হাজার দর্শক ধারণক্ষ’মতার এ স্টেডিয়ামে।
কাতার বিশ্বকাপে ৩২ দল অংশ নিচ্ছে। ৮টি ভেন্যুতে পুরো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। আরব অঞ্চলের সংস্কৃ’তি ও ঐতিহ্যের গোল্ডেন বা সোনার আদলে নির্মিত লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল খেলা। স্টেডিয়ামটিতে ৮০ হাজার দর্শকের ধারণক্ষ’মতা রয়েছে।
বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে পোশাকসহ নানান সর’ঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসে’ন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে পোশাক ও সর’ঞ্জাম সংগ্রহ করে। যার মধ্যে আছে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ স্পোর্টসওয়্যার।
লাইসেন্সপ্রা’প্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যাদেশ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য প্র’স্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত রাশিয়ার একটি বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০২১ সালে ছয় লাখ টি-শার্টের অর্ডার পায় চট্টগ্রামের সনেট টে’ক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ফিফার অনুমোদন নিয়ে গত মার্চ মাসে কার্যাদেশ অনুযায়ী ছয় লাখ পিস টি-শার্ট র’প্তানিও সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ গোসাইলডাঙ্গা এলাকার এ প্রতিষ্ঠানটি। এসব টি-শার্টের রপ্তানিমূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে দুই লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছিল প্রতি’ষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৯ সালের ইউরো কা’পেও দুই লাখ ৫০ হাজার পিস টি-শার্ট তৈরি করে।
নিটও’য়্যার প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র পরিচালক ও সনেট টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জা’গো নিউ’জকে বলেন, ‘বিশ্বকাপের জার্সি নয়, ফিফার সার্টিফায়েড একটি স্পোর্টসওয়্যার সরবরাহ প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা ছয় লাখ পিস টি-শার্টের অর্ডার পাই।
এগুলো ফিফার লোগো সম্বলিত অফিসিয়াল টি-শার্ট। আমাদের রাশিয়ান বায়ারের কাছে এসব টি-শার্ট পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে স্পোর্টসওয়্যার তৈরিতে আরও উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সূত্রে জানা যায়, সনেট টে’ক্সটাইল গ্রুপের বার্ষিক রপ্তানি ২০ মিলিয়ন ডলার। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের ১০-১২টি পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে নিট পোশাক রপ্তানি করে কারখানাটি।