মোশাররফ করিমের ছাত্রী ছিলেন জুঁই। ছাত্রী থেকে হয়ে গেছেন ঘরনী। আজ দেড়যুগ স্প’র্শ করলো এই দম্প’তির। কোচিংয়ের শিক্ষক থেকে মোশারর করিম এখন খ্যা’তনামা অভিনেতা। আর জুঁই অভিনয় করছেন নিজ’স্ব ভ’ঙ্গিমায়।
এ দ’ম্পতির বিয়ের গল্পটা বেশ মজার। নি’র্দ্বিধা’য় এই গল্প বলেন রোবেনা জুঁই। মোশাররফ করিম বন্ধুর স’ঙ্গে একটা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন, পড়াতেনও। তখন জুঁই দশম শ্রেণিতে পড়েন। প্রি-টেস্ট পরীক্ষার আগে অথবা পরে আমি সেই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন।
মোশাররফ করিমের কাছে বাংলা সাহিত্য এবং ইংরেজি গ্রামার পড়তেন। এরপর এইচএসসি এল। তখনও ওই কোচিং সেন্টারেই ভর্তি হলেন। এইচএসসি শেষ করে জুঁইও সেখানে প’ড়াতে শুরু করলেন। প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক ছিল। শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার এক বছর পর থেকে মূল’ত ভালো লাগার আদান-প্রদান শুরু হয়।
তবে বিয়েটা সহজ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে জুঁই গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমাদের সম্প’র্ক বিয়ে পর্য’ন্ত গ’ড়াতে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওর পরিবার থেকে তেমন সম’স্যা ছিল না। কারণ মোশাররফ এমনিতেই উদাসীন মা’নুষ। সে সংসার করবে এটা তার পরিবার ভাবতেই পারেনি!
তিনি বলেন, যখন সেই ছেলে মেয়ে পছ’ন্দ করেছে তখন পরিবার থেকে আর বা’ধা আসেনি। ওদিকে আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার পরিবারের সু’প্ত ইচ্ছা ছিল- পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাবে।
কিন্তু তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন বিয়ের সি’দ্ধান্ত নিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত পরিবারকে খুব হতা’শ করেছিল। এছাড়া কালচারাল কিছু গ্যা’প ছিল। আমার বাড়ি জামালপুর। মোশাররফ করিমের বাড়ি বরিশাল। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিব’ন্ধকতা ছিল।
শেষ পর্যন্ত ১৮ বছর আগের এমন এক অক্টোবরে দুজনে একই ছাদের নিচে এসেছিলেন। বিবাহবার্ষিকী উপল’ক্ষে মোশাররফ করিম-জুঁই বে’রিয়ে পড়েন ঘুরতে। নতুন কোনো জায়গায় পালন করেন বিবাহবার্ষিকী। এবার অবশ্য ঢাকাতেই রয়েছেন এই দম্প’তি।
বিবাহবার্ষিকী উপল’ক্ষে রোবেনা রেজা জুঁই ফেসবুকে দুটি ছবি পো’স্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁদের বিশেষ দিন পালনের আয়োজন। ছবির সঙ্গে লিখেছেন, এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না। শুভ বিবাহ বার্ষিকী মোশাররফ করিম। দেড় যুগ পূ’র্তি জন্য অভিনন্দন।