বাংলা সংগীতের যুবরা’জ খ্যাত আসিফ আকবর তার বড় ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানী অফিসা’র্স ক্লা’বে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্প’ন্ন হয়। ছেলের বিয়ের প্রায় এক সপ্তাহ পর ফেসবু’কে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন আসিফ।
যেখানে তিনি অভিভাব’কদের উদ্দেশ্য বলেছেন, সন্তানকে বয়স ছাব্বিশের আগেই বিয়ে দেওয়া ম’ঙ্গল। পাঠকদের জন্য আসিফের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
আমি বিয়ে করেছি উনিশ বছর তিন মাস বয়সে। বলা যায় বেগমের ভালবাসার প্রতি শ্র’দ্ধা জানাতেই সেই প্রে’শার কুকার গিলে ফেলা। জীবনের বাঁ’কে বাঁ’কে ঠো’ক্কর খেয়েও আমাদের সংসার টি’কে আছে এবং কলে’বর বাড়ছেই- আলহামদুলিল্লাহ। আমার দুই ছেলের বয়স বাইশ হওয়া মাত্রই তাদের পিছনে আ’ঠার মত লেগে আছি বিয়ে ক’রানোর জন্য।
তাই রণ’র সম্মতি পাওয়া মাত্রই আর কালক্ষে’পন করিনি। ছাব্বিশ বছরে আমাদের রণ এখন গ’র্বিত বিবাহিত পুরুষ। জীবনকে খুব কাছে থেকে নিরীক্ষ’ণ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। পড়াশোনা শেষ, তারপর চাক’রী পেলে ছেলের বিয়ে দেয়া মার্কা ফর্মূলায় আমি নেই।
গ্র্যাজুয়েশনের পরপরই বিয়ে দেয়াটা আমার কাছে যৌ’ক্তিক মনে হয়। এর একটু আগেও হতে পারে, তবে কোনভাবেই ছা’ব্বিশের পরে যাওয়া উচিত না। নতুন মুখ এলে এমনিতেই পরিবারে আন’ন্দ আসে, একঘেয়েমী কে’টে যায়। ছেলে প্রতিষ্ঠিত হলে নিজের জায়গায় চলে যাবে, তার আগেই জীবনের যত’টুকু নির্যাস নেয়া যায় সেটাই আনন্দ।
দায়িত্বশীলতা আসে স’ন্তানের চিন্তাজগতে। পরিবার থেকে পাওয়া সহযো’গীতাগুলো সে মনে রাখে, নিজের ব্য’স্ত সময়ের মধ্যেও পরিবারের সদস্য’দের আগলে রাখার চেষ্টা করে। সন্তানকে পারফেক্ট সময়ে বিয়ে করা’নো অভিভাবকদের দায়িত্ব। অজুহাত বাদ দিয়ে সাহ’স করে এগিয়ে এলে উপায়ও বেরিয়ে আসবে।
যে ঝুঁ’কি নেয়না তার সুখী হওয়ারও কোন কারন থাকা উ’চিত নয়। জীবনটা উপভোগের, ক্যালকুলেটর নয়। সংসারে বউ আসলে সময়গুলো রঙ্গীন হয়, মা’নিয়ে নেয়ার জন্য সময় পাওয়া যায়। আমি বা’ল্যবিয়ে করলেও রণ’র বিয়ে পারফে’ক্ট সময়েই হয়েছে, আর দুটো বছর আগে হলে আরো ভাল হতো।
সন্তা’নদের ঘরমুখী এবং পরিবারের প্রতি দায়ি’ত্বশীল হিসেবে তৈরী করতে সঠিক সময়ে বিয়ে করানো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের বিয়ে নিয়ে এখনো ইতস্ত’তবোধে আছেন যারা, তারা দ্রু’ত সিদ্ধান্ত নিন। আমি একজন সফল সংসারী মানুষ, সেই এ’ঙ্গেল থেকে ফ্রি’ টিপস দিলাম। স্মার্ট গার্ডিয়ান হউন, সঠিক কাজটি করুন।