বিশ্বকাপ আয়োজনে শেষ মুহূ’র্তের প্রস্তুতিতে ব্য’স্ত কাতার। ফুটবলের পাশাপাশি মাসব্যাপী উৎসবের কম’তি রাখতে চায় না আয়োজকরা। থাকবে ন’ব্বইটির বেশি ইভেন্ট। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যেতে শুরু করেছেন দেশ বিদেশের ভ্র’মণ পিপাসুরা।
দোহার দৃ’ষ্টি নন্দন কাউন্টডাউন ক্লক বলছে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকী আর একমাস। কিন্তু উ’ন্মাদনার ছোঁ’য়া কাতারের পরতে পরতে। স্থানীয় বাসি’ন্দা আহমেদ জাবেরের কথাই ধ’রা যাক। শখের গাড়ীটাকে রা’ঙ্গিয়েছেন গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের র’ঙ্গে। বড় করে লেখা পিস অ্যান্ড লাভ ইন গড উই ট্রাস্ট।
বিশ্বের কাছে শান্তি আর ভালোবাসা বার্তা দিতে জা’বের হয়ে উঠেছেন কাতারেরই প্রতিকী রূ’প। শুধু জাবের কেনো। দেশটির রাস্তাঘাট, জল স্থল, বিশাল অ’ট্টালিকা কোথায় নেই বিশ্বকাপের আ’মেজ? লক্ষ্য কোটি টাকা ব্য’য়ে সফলতম আয়োজনে চেষ্টার ত্রু’টি নেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির।
ওয়েস্ট বে, বিদ্দা পার্ক, কর্নিশ রোড, সোক ওয়াকিফ, ফানার ইসলামিক সেন্টারের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সাজ সাজ রব। বিশ্বকাপ জুড়ে প্রায় ১২ লাখ দর্শনার্থী আনন্দ বিনোদনের যেন কম’তি না হয়, তার সব ব্যবস্থাই করে রাখার প্রয়াস আয়োজকদের।
কাতার বিশ্বকাপ সু’প্রিম কমিটির মুখপাত্র খালেদ আল সুয়াইদি বলেন,দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে আমরা এখনই প্র’স্তুত। আমাদের মহা পরি’কল্পনায় বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রতিটা মুহূর্তে দো’হা কেন্দ্রিক নানা রকমের আয়োজন। নব্বইটির বেশি ইভেন্ট উপভো’গ করতে পারবেন তারা।
ভ্রমণ পিপাসুরা অবশ্য বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপে’ক্ষা করতে চান না। দশ হাজারের বেশি পর্যটক ই’তোমধ্যেই অবস্থান করছেন কাতার। নাচে গানে মা’তিয়ে তুলছেন সেখানকার জনপথ। তাদের জন্য অপেক্ষায় ডে ড্রিম মিউজিক ফেস্টিভাল, কাতার এয়াওয়েজ স্কাই হাউজ, উইন্টার ওয়ান্ডারল্যান্ড থিম পার্ক আর অ’সংখ্য প্রদর্শনী।
মর’ক্কোর একজন দর্শনার্থী মোহাম্মদ এলাসরি বলেন, দারুন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ পা’চ্ছি এখানে। সেকে’ন্ড হোমের মত মনে হচ্ছে। কাতার ভ্রমণে সবচেয়ে বেশি গুরু’ত্ব দেয়া হচ্ছে হায়া কার্ডকে। যা থাকবে বিশ্বকাপ টিকিটধা’রী সবার কাছে। একই সঙ্গে ফ্যান আ’ইডি আর ভিসা হিসেবে যে কার্ড কাজ করবে।
কাতার বিশ্বকাপ সুপ্রিম কমিটির মুখপাত্র খালেদ আল সুয়াইদি বলেন, কাতারে আগত সকল ভ্রমণকারীদের হায়া কার্ড স’ঙ্গে রাখার অনুরোধ জানাই। এই কার্ড দিয়ে বিনামূ’ল্যে যাতায়াত সুবিধাও পাওয়া যাবে। ভ্রমণকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপ’ত্তা নিশ্চিতে কাতারের স’ঙ্গে থাকবে ন্যাটো, পাকিস্তান, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষায়িত বাহিনী।