এক বিশ্বকাপ আ’য়োজন করতে গিয়ে কাতারকে কতো কিছুই না করতে হচ্ছে। কা’ড়ি কা’ড়ি অ’র্থ খরচের পাশাপাশি স’হ্য করতে হচ্ছে প’শ্চিমা বিশ্বসহ অন্যদের নানান স’মালো’চনাও। সবকিছু ছা’পিয়ে এখন ফুটবল উৎসব দেখার অপে’ক্ষা। আজ রবিবার সেই মাহে’ন্দ্রক্ষ’ণ। পারস্য উপসাগরের তীরে বিশ্বকাপের ম’হারণে সা’মিল হতে যাচ্ছে সবাই।
দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ২৯ লাখ ৯৬ হাজার। মজার ব্যা’পার হচ্ছে, তারা স্বাগত জানাবে প্রায় ১৫ লাখ ফুটবল ভ’ক্তকে। দেশটির রয়েছে দুটি বিমানবন্দর। হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি ঘণ্টায় দশ হাজার যাত্রী নামছেন। আর দোহা আন্তর্জাতিক বিমানব’ন্দরে ঘণ্টায় নামছে ১৩টি ফ্লাইট। ভাষা কোনো সম’স্যা নয়। ইংরেজি চলে সর্বত্র। এর আয়তন এতটাই ছোট যে, এক দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পুরো দেশটি ভ্র’মণ করা যায়।
১৯৩০ সালে যার গো’ড়াপ’ত্তন হয়েছিল। ২০২২ সালে এসে তা ২২তম আসরে গিয়ে ঠে’কেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে এই বিশ্বের সবচেয়ে আ’কর্ষণী’য় এক ম’হায’জ্ঞ। যেই আকর্ষণ শুধু চু’ম্বকের মতো টা’নেই না, নিয়ে যায় অত’লেও। বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে রো’মাঞ্চ তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে বাড়ছে টে’নশনও। কাতার কি পারবে ঠিকঠাক বিশ্বকাপ শুরুর স’ঙ্গে শেষটাও করতে? কাতারের জন্য যা বাড়তি চ্যা’লে’ঞ্জ।
এই চ্যা’লে’ঞ্জে ৩২টি দেশ আটটি স্টেডিয়ামে ২৯ দিনের ল’ড়াইয়ে নিজেদের স’পে দিতে যাচ্ছে। প্রথম দিনেই মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর। ম্যা’চ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। তার আগে রাত আ’টটায় অনুষ্ঠিত হবে জ’মকা’লো উ’দ্বোধ’নী অনুষ্ঠানও। ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা প্রা’প্তির পর কাতার একটু একটু করে নিজেদের গ’ড়ার দিকে ম’নোযো’গ দিয়েছে।
অফু’রন্ত প্রা’কৃতিক গ্যা’স রফতানি ক’রে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশের তালিকায় কাতারিদের নাম রয়েছে। আর তাই তো বিশ্বকা’পের মতো বড় আসর সফল করতে ২১০ বিলিয়ন ড’লার ব্য’য় করতে তাদের কু’ণ্ঠা নেই। আয়তনে ঢাকার প্রায় চার’গুণ কাতার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো কম আয়’তনের দেশে যে আগে কখনও এমন আস’র হয়নি! আর তা সফল করতে স্বাগতি’কদের চলছে রাত-দিনের প্রচে’ষ্টা।
কাতারিদের পাশাপাশি এখানে প্রবাসী’দেরও বিশ্বকাপ নিয়ে উ’ত্তেজনা কম নয়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ’গুলোর। ফিফা ফ্যান জোনে তো এ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ। পুরো দেশেই এখন বলতে গেলে বিশ্বকা’পের আ’মেজ। দোহার রা’স্তায় রাস্তায় মাঝে মধ্যে চোখে পড়বে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের জা’র্সি গায়ে সমর্থ’কদের হ’ই-হুল্লো’ড়।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে নতুন করে হয়েছে সাতটি স্টে’ডিয়াম। আর পুরনো স্টেডিয়ামটির হয়েছে বড় সংস্কারও। হয়েছে মে’ট্রোরেল, হোটেল, রাস্তাঘাটসহ অনেক কিছুই। আর সবার কথা চিন্তা করে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ হচ্ছে শীত মৌ’সুমে। যদিও এখন কাতারের আ’বহাওয়া ক’ম উ’ত্তপ্ত নয়। তবে স্টেডিয়ামগুলো তা’পানুকূল করে রাখায় গ’রমের তেজটা সেভাবে অনুভব হবে কমই।
এমন আয়োজন দেখে কুয়েতের ফ্রি’ল্যান্স সাংবাদিক নাদুম খলিল তো ইতিবাচক বা’র্তাই দিলেন। মেইন মিডিয়া সেন্টারের বাইরে ঢোকার মুখে জানালেন, কাতার বেশ ভালোভাবেই সবকিছু আ’য়োজন করছে। তবে আমাদের এখান অনেকেই আবার তা দেখে হিং’সা করে। তবে আয়োজনকে তো ভা’লো বলতে হবে।
বিশ্বকাপের রং উ’জ্জ্বল করতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা শহরে পা দিয়েছে। অন্যরাও এসেছে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রা’জিলের সামনে হে’ক্সা জয়ের মিশন। ২০০২ সালের পর নেইমার-পাকেতাদের হাতে ট্র’ফি দেখার অপেক্ষায় সম’র্থকরা। আর ১৯৮৬ সালের পর লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখলে আনন্দে আ’ত্মহা’রা হবে অন্য সমর্থকরা। তাদের চোখ রা’ঙানি দিতে এমবাপ্পে-করিম বেনজেমা কিংবা লুকাকু, কেইনরা কম যাবেন কেন।