মালয়েশিয়ার সফররত বনায়ন শিল্প ও পণ্য বিষয়কমন্ত্রী জুরাইদা কামারুদ্দিন জানিয়েছেন, তার দেশ বিশেষভাবে তাদের বনায়ন খাতে বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে জুরাইদা এ কথা বলেন। এসময় মালয়েশীয় মন্ত্রী এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারের সঙ্গে সরকারের (জি২জি) মাধ্যমে হতে পারে বলেও প্রস্তাব দেন।
তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বনায়ন শিল্প খাতের জন্য একটি স্বচ্ছ ও পদ্ধতিগত পন্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে তারা এভাবে নিয়োগ দিতে চান।বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে জুরাইদা বলেন, প্রস্তাবিত নিয়োগ পদ্ধতি অনুযায়ী, তারা উপযুক্ত আবাসন ও মজুরিসহ শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও হয়রানিমুক্ত করতে চান। এছাড়াও তিনি শ্রমিকদের পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ট্র্যাকিং সিস্টেম প্রবর্তন করার কথা বলেন।
মালয়েশীয় মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া আশা করে যে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার ও সুদৃঢ় হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিকে খুব ভালো প্রস্তাব উল্লেখ করে, আগামী দিনগুলোতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় জুরাইদা সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশাংসা করে বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের সকল নারীর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, কারণ বিশ্বের নারী নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে প্রভাবশালী।
বাংলাদেশে ভ্যাকসিন সহায়তা বৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনা মালয়েশীয় সরকারকে ধন্যবাদ ও দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় জুরাইদাও মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশীয় হাইকমিশনার মো. হাশিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।