দিস ওয়ে, দিস ওয়ে। চলতি বিশ্বকাপে এটা এক নতুন সংযো’জন। এর আগে কখনো দেখিনি। বিশেষ করে কাতারের মেট্রোরেলে এটা চোখে প’ড়ার মতো। প্রতিটি স্টেশনে ছেলেমেয়েরা হাতে ফ’র্ম ফি’ঙ্গার নিয়ে দাঁ’ড়িয়ে। ঝকঝকে, তকতকে মেট্রোরেল। সর্বাধুনিক ছোঁ’য়া রয়েছে। প্রতিটি স্টেশনে এই স্বেচ্ছাসেবকদের সরব উপস্থিতি।
কেউ হা’রাতে গেলেও হা’রাতে পারবেন না। কারণ এমনভাবে সাজানো হয়েছে আর এমনভাবে দিকনি’র্দেশনা দেয়া হয়েছে তাতে কোনোভাবেই হা’রানোর সুযোগ নেই। তারপরও আপনি যদি কা’উকে জি’জ্ঞেস করেন তখনই বলে দেবে- দিস ওয়ে, দিস ওয়ে। কোন লা’ইনে যেতে হবে সেটাও বলে দেবে। কিংবা আপনাকে নিয়ে যাবে ওই প্ল্যা’টফরমে। শুধু কি স্টেশনের ভেতরে?
স্টেডিয়ামে ঢোকা পর্য’ন্ত আপনি দেখবেন- দিস ওয়ে, দিস ওয়ে। এটা যেন একটা জাতীয় স্লো’গানে পরিণত হয়েছে। কাতারের জনসংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ। এর বেশির ভাগই বিদেশি। দক্ষ-অদ’ক্ষ শ্রমিকরাই কাতারের প্রাণ। নেতৃত্বে রয়েছেন আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। গোড়া থেকেই স’মালো’চনা ছিল কাতার কি পারবে সু’চারুভাবে এতবড় আয়োজন সম্পন্ন করতে? এখন আর কারও মুখে শু’নি না।
আন্তর্জাতিক কোনো গণমা’ধ্যমও লিখছে না। বরং জয়’গানই গাইছে। যে কথা বলছিলাম। স্বেচ্ছাসেবকদের কথা। এরমধ্যে বাংলাদেশিও স্থা’ন পেয়েছেন। মিডিয়া সেন্টার থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যন্ত। অনেক বাংলাদেশির স’ঙ্গে দেখা হয়েছে। মিডিয়া সেন্টারে কর্মরত আছেন মোহাম্মদ রশিদ। বললেন- আমি গর্বিত, আনন্দিত।
বিশাল এই আয়োজনের অংশী’দার হতে পেরে। আমার মতো আরও অনেকেই বিভিন্ন দা’য়িত্ব পেয়েছেন। মিডিয়া সেন্টারে কোনো সাংবা’দিকের যাতে অসুবিধা না হয় সেদি’কটার উপর নজর দেয়া হয়েছে বেশি। সকাল-বিকাল, রাত-দুপুর তাদের দায়িত্ব। আপনি যদি স্টে’ডিয়ামে ঢুকতে চান এত সুশৃ’ঙ্খল আয়োজন দেখে অবাক না হয়ে পারবেন না।
টিকি’টের গায়ে সবকিছু লেখা আছে। তারপরও এই স্বেচ্ছাসেবকরা আপনাকে নিয়ে যাবে গ’ন্তব্যে। ভেতরেও এই স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা ল’ক্ষণীয়। ওখানেও শুনবেন- দিস ওয়ে, দিস ওয়ে। শুধু তাই নয়, খেলায় জিতলে ভ’ক্তদের মুখেও শোনা যায় একই স্লোগান- দিস ওয়ে, দিস ওয়ে। খেলা ভা’ঙার পর মেট্রোরেলে ভিন্ন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
হাজার হাজার ফ্যান তখন ট্রে’নে উঠার চে’ষ্টা করছেন। বিশ্বাস করুন, পরিবেশ তখনো সু’শৃঙ্খল। নিয়মে ব’ন্দি। ট্রেনের ভেতরে কানে ভাসবে একজন মহিলার ক’ণ্ঠ। আমরা এই স্টেশনে দাঁ’ড়িয়ে আছি, পরের স্টেশন এটি। রেক’র্ডেড ভাষ্য। ইংরেজি আগে, আরবি পরে। আরবি হচ্ছে তাদের মাতৃভাষা।
আমরা তো বাংলা বাংলা করতে গিয়ে না শি’খলাম বাংলা, না শিখলাম ইংরেজি। যার মূ’ল্য দিচ্ছি মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। ভাষা জানার কারণে অন্যেরা ছ’ড়ি ঘু’রাচ্ছে। আমরা থাকছি মু’খ লু’কিয়ে। রাত তিনটা পর্যন্ত চলে মে’ট্রোরেল। কাতারিদের খুব একটা দেখা যায় না মেট্রোরেলে। কারণ তাদের সবারই রয়েছে একা’ধিক গাড়ি। এই সময় গাড়ি চালানো বা পার্কিং পাওয়া খুবই কঠিন।