কাতার বিশ্বকাপ দেখতে আসা অ’মুসলিম পর্যটকদের আকর্ষ’ণের জায়গা হয়ে উঠেছে কাতারের মসজিদগুলো। আরব সংস্কৃতি ও ইস’লামি জীবনধারা সম্প’র্কে জানতে তাঁরা মসজিদমুখী হচ্ছেন বলে জানিয়েছে কাতারভি’ত্তিক সংবাদপত্র ‘দ্য পেনিনসুলা কাতার’।
দোহার কাতারা কালচারাল ভিলেজের মসজিদটির নাম গ্রেট কাতারা ব্লু মসজিদ। এই মসজিদে প্রতিদিন হাজার হাজার অ’মুসলিম পর্যটক আসছেন এবং আরব ও ইসলামি সংস্কৃ’তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। মসজিদের স্বেচ্ছাসেবক উ’ম্মে আহমদ বলেন, ‘মসজিদের পাশে কালচারাল ভিলেজ তৈরির উদ্দেশ্যই ছিল কাতারি সংস্কৃতির সঙ্গে বিদেশি পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
মুসলিমদের জীবনা’চার নিয়েই দর্শক বেশি প্রশ্ন করছেন। অনেক দর্শনার্থী স্বী’কার করেছেন যে ইস’লাম ও মুস’লিম সম্প’র্কে তাঁদের আগের ধারণা সম্পূ’র্ণ পা’ল্টে গেছে।’সংস্কৃতির মেলব’ন্ধন এবং বিশ্বের বিভিন্ন ধ’র্মের মানুষের সঙ্গে বোঝাপ’ড়া নিশ্চিত করতে আরও এক চম’ৎকার আয়োজন হলো ‘আস্ক মি অ্যানিথিং’।
উম্মে আহমেদ ও তাঁর স’ঙ্গীরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন। মসজিদের একটি লা’উঞ্জে লেখা রয়েছে, ‘আমাকে কাতারের নারী সম্পর্কে জি’জ্ঞাসা করুন’। লাউঞ্জে বসে বিদেশি দর্শনার্থীরা চা-কফি পান করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং নারী স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উ’ত্তরও দিচ্ছেন।
ইস’লামকে পরিচয় করিয়ে দিতে কাতার গেস্ট সেন্টারের কর্মচারী ও ধ’র্মপ্র’চারকেরা মসজিদের দরজায় উপ’স্থিত থাকছেন। তাঁরা অ’মুসলিম দর্শনা’র্থীদের স্বাগত জানাচ্ছেন এবং মসজিদ সম্প’র্কিত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। ভেতরে প্রবেশ করিয়ে মসজিদের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ স’ম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন।
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কাতারের ইস’লামবিষয়ক মন্ত্রণালয় অ’মুসলিম পর্যট’কদের ইস’লাম সম্পর্কে জানাতে বেশ কিছু উদ্যো’গ হাতে নেয়। ইসলা’মের পরিচিতমূলক ছয়টি ভাষার বই বিতরণ, মসজিদগুলোতে বিশ্ববরেণ্য ই’সলামিক স্কলারদের লেকচার প্রদান এবং সড়কে মহানবী (সা.)-এর বাণীসংবলিত বিলবো’র্ড স্থাপন সেসব উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।