চলমান কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউ’ন্ডের খেলা চলছে। এরই মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল নি’শ্চিত করেছে চারটি দল। আজ শেষ আটে ওঠার ল’ড়েইয়ে মাঠে নামবে আরও চার দল। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে জাপান-ক্রোয়েশিয়া। অপর ম্যাচে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া।
বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ গড়াবে ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচটি। স্টেডিয়া’মটিতে এটাই হবে শেষ ম্যাচ। এর পর আর কখনো এই স্টেডিয়ামে কোনো খেলা হবে না। খেলা হবেই বা কি করে, আজকের এই ম্যাচের পর ভে’ঙে ফেলা হবে স্টেডিয়াম ৯৭৪ ।
এর কারণ ব্যাখার আগে চলুন জেনে নেই স্টেডিয়ামটি সম্প’র্কে। ফিফার ২২তম আসরের জন্য আটটি ভেন্যু তৈরি করেছে কাতার। এর মধ্যে অন্যতম ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’। কিন্তু কেন এমন নাম দেয়া হলো?
কাতারের ডায়া’লিং কোড নম্বর হচ্ছে, নাইন সেভেন ফোর-৯৭৪। তাই স্টেডিয়ামটি তৈরিতেও ৯৭৪টা কনটেইনার ব্যাবহার করা হয়েছে। আর এই কারণেই এর নামকরণ করা হয় ‘স্টেডিয়াম নাইন সেভেন ফোর’। ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচসহ মোট সাতটি খেলা হচ্ছে এই স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামটিতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, পর্তুগালসহ অনেক দলই খেলেছে।
এবার জেনে নেই অদৃ’শ্য হওয়ার কারণ। কাতারের সামুদ্রিক এলাকার পাশেই অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে দর্শকাসন রয়েছে ৪০ হাজার। ৯৭৪টা কনটেইনার দিয়ে এটিকে অ’স্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অ’স্থায়ী স্টেডিয়াম।
মডিউলার স্টিল ও শি’পিং কন্টেনার দিয়ে তৈরির কারণেই বিশ্বকাপের শেষে সহজেই ভে’ঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম ভা’ঙার সময় যাতে দূ’ষণ না হয়, তা আলাদা ভাবনাও নিয়েছে কাতার প্রশা’সন। এমনকি প্রয়োজনে ওই কন্টেনার পুনরা’য় ব্যবহারও করা যাবে। এমনি চাইলে অন্য দে’শেও স্থানান্তর করা যাবে।