কাতারে সড়ক দু’র্ঘট’নায় রেজুয়ানুল হক তুষার (২৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহ’ত হয়েছেন। সোমবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে কাতারের দোহায় এ দু’র্ঘট’না ঘটে। তুষার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া বোডিং মাঠ এলাকার মৃ’ত হামিদুল হকের ছেলে।
নিহ’তের ভ’গ্নিপতি শাহনেওয়াজ ভূইয়া রাকিব সোমবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘তুষার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তার একমাত্র বোন জুঁইকে আমি বিয়ে করেছি। আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জাপান প্রবাসে আছি। আমার শ্বশুর প্রায় ৮ বছর আগে মা’রা গেছেন।
বাবা মা’রা যাওয়ার এক বছর পর মাকে একা বাড়িতে ফে’লে পরিবারের হাল ধরতে জীবিকার তা’গিদে তুষার কাতার পাড়ি জমায়। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে ফুড ডেলিভারির কাজ করতেন। শাহনেওয়াজ আরও বলেন, ‘সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে মোটরসাইকেলে খাবার ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় গাড়ির ধা’ক্কায় ঘটনাস্থলেই তুষার নিহ’ত হন।
সেখানে একটি হাসপাতাল ম’র্গে তার ম’রদে’হ রাখা আছে। ম’রদে’হ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, প্রবাসে যাওয়ার পর গত ৭ বছরে একবারও দেশে আসেনি তুষার। ছয়মাস আগে মোবাইলে পারিবারিকভাবে জে’লার আখাউড়া উপজেলার মোগড়ায় বিয়ে করেন তুষার।
কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল তার। কিছুদিন দেশে থেকে তুষার এবার পোল্যা’ন্ডে পেতে চেয়েছিলেন। সব প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নি’র্ম’ম পরিহা’স দেশে ফেরা হলো না তুষারের। নববধূকেওও ঘরে তোলা হলো না।
তুষারের ভ’গ্নিপতি বলেন, ‘আমার শ্বাশুড়ি গ্রামে একাকি জীবনযাপন করেন। তারা একমাত্র মেয়ে জুঁই আমার স’ঙ্গে জাপানে। আর একমাত্র ছেলে তুষার কাতারে থাকতেন। প্রতী’ক্ষায় ছিলেন ছেলে দেশে ফিরে আসবে। ধু’মধা’মে ছেলের বিয়ের আয়োজন করে পুত্রবধূকে ঘরে তুলে আনবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি তুষারের মায়ের।’