বগুড়ার ডিসলা’ইনের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায়ী এই যুবক এখন পুরো বাংলার মানুষের কা’ছে পরিচিত হিরো আলম নামে। তাকে ঘিরে শত স’মালোচ’না। তবে কোনো কিছুকে তো’য়াক্কা না করে আপ’ন মনে কাজ করে যাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বত’ন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হিরো আলমের চার বছর আগে সম্প’দ বলতে তেমন কিছুই ছিল না।
তার ব্যাংক হিসাবে এক হাজার টাকা, ২১ শতাংশ কৃষিজমি, ৮৭ হাজার টাকার একটি পুরোনো মোটরসাইকেল, আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং স্ত্রী’র এক ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। আর আয় বলতে ছি’ল, কৃষি খাত থেকে আসা ৬ হাজার টাকা এবং অভিনয় থেকে আসা ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
সে সময় তার নিজের বাড়ি-গাড়িও ছিল না। তবে এই চার বছরের ব্য’বধানে কোটিপতি বনে গেছেন হিরো আলম। নয় শতক জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। চলাফেরার জন্য ব্যবহার কর’ছেন কয়েক লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি। কৃষিজমির পরিমাণ ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালংকার বেড়ে ১০ ভরি হয়েছে।
ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র করেছেন তিনি। বগুড়ার দুই আসনে (বগুড়া-৪ ও ৬) স্ব’তন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিব’রণীর হলফ’নামায় এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন হিরো আলম।
তবে তার নির্বাচনি ব্যয়ের উৎস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এদিকে অনেকেই হিরো আলমের আয়ের উৎ’স জানতে চান। তিনি কীভাবে সিনেমা প্রযোজনা করেন, নির্বাচনে খরচের টাকা কোথায় পাচ্ছেন—সেসব জানতে চান। হিরো আলম জানান, আমার কোনো কা’লোটা’কা নেই। বিভিন্ন স্টে’জ শো করে উপার্জন করি।
এ ছাড়াও অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক, চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ব্যবসা করি। ইউ’টিউব থেকেও আ’য় করি। একটু একটু করে সঞ্চয় জ’মিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি। আমার কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ নেই। হলফনামায় স’ম্পদের যে তথ্য দিয়েছি, সবই সৎভাবে উপার্জিত।