




মরুভূমির দেশ আরব আমিরাত। যেখানে বৃ’ষ্টি বিরল ঘটনা। যদিও মরুর আকাশে মেঘের অবা’ধ চলাচল। কিন্তু, বৃষ্টি ঝরে পড়ার আগেই প্র’চণ্ড গরমে বা’ষ্প উ’ড়ে যায় আকাশে। এই সংক’ট কা’টিয়ে উঠতে একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে দেশটির সরকার। এজন্য তারা বিপ’জ্জনক উ’ড়ালের সহায়তা নেয়ার কথাও ভাবছে।





নজর কা’ড়া ইমারত ও সাগরের বুকে কৃত্রিম দ্বী’প বানিয়ে নিয়মিতই পৃথিবীতে তাক লা’গিয়ে দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু এতো কিছুর পরও মরুভূমির দেশটিতে রয়েছে প্রচুর পানির আ’কাল। যে দেশে অর্থের কোনো হিসেব নেই, সেখানে পানি সং’ক’ট খুবই নিদারুণ ব্যাপার।





এবার সেই সংক’ট কাটাতে মেঘ কেটে কৃ’ত্রিম বৃষ্টি নামাতে প্রকল্প চালু করা হয়েছে দেশটিতে। ৪৮টি কা’র্টিজ ভর্তি লবণ দিয়ে মেঘকে বৃ’ষ্টিতে রূ’পান্তর করা হবে আরব আমিরাতে। তবে মেঘের ভেতর কোনো কিছু প্রবেশ করানো ভীষণ দু’রূহ একটি কাজ। মেঘের ভেতরে না ঢুকলেও এর কো’ল ঘেঁ’ষে উড়বে পাইলট, যা বেশ অনেকটা ঝুঁ’কি তৈরি করবে।





মরুভূমি থেকে মেঘের দৃশ্যমানতা অ’স্পষ্ট। তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুবাইয়ের মতো নগরীতে পানির বেশ স্ব’ল্পতা রয়েছে। কিন্তু খরচ হচ্ছে প্রচুর। অথচ তাপমা’ত্রা বেড়ে যাচ্ছে এ শহরে। নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভ’স্থ পানির স্তর। আবুধাবির ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি কৃ’ত্রিম বৃষ্টির জন্য এ চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে।





গবেষকরা চারটি প্রপেলার প্লেন দিয়ে মেঘের মধ্যে সোডিয়াম ও পটাসিয়াম ক্লোরাইড নিক্ষে’প করেন। এর পেছনে বি’জ্ঞানীরা যু’ক্তি, লবণ কণা পানিকে আব’দ্ধ করে ভারী হয় এবং বৃষ্টি হয়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে দেখা গেছে, মেঘে লবণ ছোঁ’ড়ার ফলে গড়ে ২৩ শতাংশ বেশি বৃ’ষ্টি হয়। বৃষ্টিপাত এমনকি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হতে পারে।