বাংলাদেশে নিযু’ক্ত কাতার দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সৈয়দ যারাল্লা এস এস আল-সামিক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সা’ক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী’র দ’প্তরে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের পার’স্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ছাড়াও ২০২৬ সালে আইটিইউ’র প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২৬ এর নির্বাচন ও ভেন্যু সং’ক্রা’ন্ত বিষয় নিয়ে আ’লোচনা করেন। এ বছর সেপ্টেম্বরে রুমানিয়ার বুখারে’স্টে অনুষ্ঠেয় প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২২ এ আইটিইউ সদস্যদেশগুলোর ভোটের ভিত্তিতে প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২৬ এর ভেন্যু নি’র্ধারিত হবে।
এতে কাতারের প’ক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান আশা করেন এই কূটনী’তিক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও কাতার ভ্রাতৃপ্র’তীম দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যামান সম্পর্ক দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্য’ন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আইটিইউর সদস্য প’দ অর্জন করে।
একই বছর কাতারও আইটিইউর সদস্য পদ অর্জন করেন। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃ’ষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ অ’গ্রগতিতে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অগ্রগতির অভি’জ্ঞতা এবং এখাতের দক্ষ মানবসম্পদ কাতারে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের বিনিয়ো’গ বান্ধব নীতির ফলে দেশে ডিজিটাল য’ন্ত্র উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব এই নীতি কাতার কাজে লাগাতে পারে। মন্ত্রী আসন্ন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করার জন্য কাতারের ভূমি’কার প্র’শংসা করেন। এ সময় কাতার দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রীকে অভিন’ন্দন জানান এবং কাতার বিশ্বকাপে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।
সৈয়দ যারাল্লা এস এস আল-সামিক বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগখাতসহ বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগ’তির প্রশংসা করেন। তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার বিদ্যামান সম্প’র্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্য’ক্ত করেন।