কা’ন্নার রোল থামছেই না নারায়ণগঞ্জে নিহ’ত যুবদল কর্মী শাওনের বাড়িতে৷ মা ফরিদা বেগম পুত্রশোকে আ’হাজারি করছেন। তাকে সা’ন্ত্বনা দিতে গিয়ে নির্বাক হতে হচ্ছে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের। সরেজমিনে দেখা যায়, শাওনের মা ফরিদা বেগম ক্ষ’ণে ক্ষণে পুত্রের জন্য বিলা’প করছেন৷
নারায়ণগঞ্জ মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরিফ মায়াসহ কয়েকজন নারী নেত্রী তাকে সা’ন্ত্বনা জানাতে বক্তাবলীস্থ বাড়িতে যান। এসময় ফরিদা বিলা’প করে বলতে থাকেন, ‘মরার সময় আমার পুতে জানি কেমন করছে, কয়বার জানি মা কইয়া ডাক দিছে।’ একথা বলেই জ্ঞান হা’রান তিনি।
স্বামী সাহেব আলী মা’রা যাওয়ার পর ফরিদার বড় ছেলেও অ’সুস্থ হয়ে মা’রা যান। তারপর ক্যা’ন্সারে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে চলে যান বোন হেনা প্রধানও। এবার রাজনীতির ব’লি হলেন ছোট ছেলে। চার লা’শের বোঝা আর নিতে পারছেন না জানিয়ে নির্বা’ক চোখে তা’কিয়ে থাকেন তিনি। বিলা’প করতে করতে শাওনের মা বলেন, ‘আমার শরীরটা তেমন ভালো না। সকালে শাওন যখন বাইর হইয়া যাচ্ছিল, জিজ্ঞেস করলাম, কই যাসরে বাবা, কামে যাবি না? কোনো কথা না বইলাই বাইর হইয়া গেল।
সেই যে গেল, আইলো তো লা’শ হইয়া। ’ বলেই হাউ মা’উ করে চিৎ’কার করেন তিনি। আরো বলেন, ‘আমি তো জানি না এই দলের মধ্যে যাইব। পুত দুইটা যায় না (বড় দুজন), ওরেও যাইতে না করি। অহন আমি শাওন বইলা কারে ডাকমু? কে আমারে আদর ক’ইরা খাওন আইনা দিব? আহারে আমার ছোট পুত, আমার না’ড়িছেঁ’ড়া মানিকরে, কই গেলি তুই আমারে ছাই’ড়া।’ শাওনের মায়ের এমন আ’কুতি করা ডাক আর কা’ন্নার দৃশ্য উপস্থিত সবার চোখে পানি ঝ’রিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপি ও পুলিশের সং’ঘ’র্ষে গু’লিবি’দ্ধ হয়ে নিহ’ত হন যুবদল কর্মী শাওন প্রধান। এ ঘটনায় তার পরিবারের প’ক্ষ থেকে পাঁচ হাজার অ’জ্ঞা’ত ব্যক্তিকে আসা’মি করে মাম’লা দা’য়ের করা হয়েছে৷ অন্যদিকে ভা’ঙচুর, সহিং’সতার অভি’যোগ এনে পুলিশ ৭১জন বিএনপি নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে আরো ৭০০জনকে অজ্ঞা’ত আ’সামি করে মাম’লা দায়ের করে।