তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলার জন্য ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্য বলে ৯ রান ওঠেছে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে। দিলশান মধুশাঙ্কা চারটি হোয়াইট ও একটি নো বল করেছেন। এর মধ্যে একটি হোয়াইট বল থেকে চার রান পেয়েছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত মধুশা’ঙ্কা প্রথম ওভারে দেন ১২ রান।
শুরুটা ছিল ভ’য়াবহ। বলতে গেলে ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের হাতের মু’ঠোয়। সেখান থেকেই ফি’নিক্স পাখির মতো জেগে উঠ’ল লঙ্কানরা। পা’ল্টা আ’ক্রম’ণে হ’তাশায় ভাসাল বাবর আজমের দলকে। প্রথম ইনিংস শেষে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ নিয়েই থেমেছে প্রতিযো’গিতার পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলংকার সংগ্রহ ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ট’স জিতে ফিল্ডিং করার সি’দ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শ্রীলংকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন মেন্ডিস। এই ম্যাচেও রানের খাতা খোলার আগেই সা’জঘরে ফেরেন তিনি। প্রথম বলেই এই ওপেনারকে বোল্ড করেন নাসিম শাহ। আরেক ওপেনার নিশা’ঙ্কাও এদিন খুব বেশি রান করতে পারেননি। ৮ রান করে বাবর আজমের তালুব’ন্দী হন তিনি।
বোলার ছিলেন হারিস রউফ। একই বোলার ফেরান এক রান করা দানুশকা গুনাথিলাকাকে। পার্ট টাইম বোলার ইফতিখার আহমেদ এসে আউট করেন ধন’ঞ্জয় ডি সিলভাকে। তিনি ২১ বলে ২৮ রান করেন। লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে বড় ধা’ক্কা দেন শাদাব খান।
মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের শ’ঙ্কায় কাঁ’পছিল শ্রীলংকা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ভানুকা রাজাপাকশে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দুজনে মিলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। হারিস রউফের তৃতীয় শি’কারে পরিণত হওয়ার আগে ২১ বলে ৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন হাসারাঙ্গা। এরপর দলকে এগিয়ে নেয়ার পথে অর্ধশত’কের দেখা পান রাজাপাকশে।
৩৫ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৭১ রান করেন রাজাপাকশে। অন্যপ্রা’ন্তে করু’ণারত্নে অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ তিনটি এবং নাসিম, শাদাব ও ইফতিখার একটি করে উইকেট নেন।